Summary
আমরা জানি আলো খুব দ্রুত চলে, সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার। আলো চলার পদ্ধতি বোঝার জন্য একটি কার্যকলাপ করা যেতে পারে:
- তিনটি সমান কভার নাও এবং একটির উপরে আরেকটি রাখো।
- একটি পেরেক বা মোটা সুই দিয়ে তিনটি কভার ছিদ্র করো।
- বোর্ডগুলোকে তিনটি টেবিলের উপরে এমনভাবে দাঁড় করাও যেন ছিদ্রগুলি একই সরলরেখায় থাকে।
- বোর্ডের পেছনে একটি মোমবাতি জ্বালাও, যাতে মোমবাতির শিখাটি বোর্ডের ছিদ্রের উচ্চতার সমান হয়।
- এখন বোর্ডের বিপরীত দিক থেকে মোমবাতির দিকে তাকাও।
- একটি বোর্ডকে সামান্য সরিয়ে নাও এবং আবার চেষ্টা করো।
যখন ছিদ্র একই রেখায় ছিল, তখন মোমবাতির শিখাটি দেখা গেছে। কিন্তু যখন একটি বোর্ড সরানো হয়েছে, তখন শিখাটি দেখা যায়নি।
এ থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত হলো: আলো বাঁকা পথে চলে না, বরং সরলরেখায় চলে। আলোর এই সরলরৈখিক পথকে আলোকরশ্মি বলা হয়।
আমরা জানি যে, আলো অত্যন্ত দ্রুত চলে, সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার। কিন্তু এ আলো কীভাবে চলে? সোজা পথে, না বাঁকা পথে? এসো আমরা কিছু কাজ করি। এগুলো থেকে বুঝতে পারব আলো কীভাবে চলে? কাজ: তোমার নোটবুকের তিনটি সমান কভার নাও। এদের একটার উপর আরেকটা রাখ, যাতে এদের সকল প্রান্ত একসাথে মিলে থাকে। এখন একটি পেরেক বা মোটা সুই দিয়ে তিনটিকে একসাথে ছিদ্র কর। এবার বোর্ড তিনটি টেবিলের উপর এমনভাবে খাড়া করে দাঁড় করিয়ে দাও যেন তিনটি বোর্ডের ছিদ্র একই সরলরেখায় থাকে। এখন একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে বোর্ডগুলোর পেছনে এমনভাবে টেবিলের উপর বসাও যাতে মোমবাতির পুরো শিখাটির উচ্চতা বোর্ডের ছিদ্রগুলোর উচ্চতার সমান হয় (চিত্র ৯.১)। বোর্ডগুলোকে এমনভাবে সাজাও যেন বোর্ডের ছিদ্র ও মোমবাতির শিখা একই সরলরেখায় থাকে। এবার বোর্ডের বিপরীত দিক থেকে মোমবাতির দিকে তাকাও, মোমবাতির শিখাটি দেখতে পাবে। একটি বোর্ডকে এক পাশে সামান্য সরিয়ে নাও, যাতে তিনটি ছিদ্র একই রেখায় না থাকে। মোমবাতির শিখাটি দেখতে পাচ্ছ কি? না, এখন আর শিখাটি দেখা যাচ্ছে না। আলো বাঁকা পথে তোমার চোখে প্রবেশ করতে পারেনি। এ থেকে তুমি কী সিদ্ধান্ত নেবে? আলো বাঁকা পথে চলে না, সরলরেখায় চলে। আলোর এই সরলরৈখিক পথকে আলোকরশ্মি বলে।

Read more